ড্রোন সিগন্যাল জ্যামার তৈরির জন্য ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠান গড়েন ইউরি শেলমুক। শুরুর দিকে তাঁর পণ্য কম চাহিদাসম্পন্ন ছিল। তবে ২০২৩ সালের গ্রীষ্ম থেকে চাহিদা বেড়ে প্রতি মাসে ২,৫০০ সরঞ্জাম উৎপাদন করছে তাঁর প্রতিষ্ঠান আনওয়েভ। ক্রয়াদেশের চাপ এত বেশি যে সরঞ্জাম পেতে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
ইউক্রেনীয় সামরিক শিল্পের বিকাশ শুরু হয় রুশ বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের পর। কিয়েভ অভিযোগ করে, রুশ বাহিনী ব্যাপকভাবে ড্রোন এবং ভূমিমাইন ব্যবহার করছে। এর প্রেক্ষিতে ড্রোন প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরিতে ইউক্রেনের প্রায় ৩০টি কোম্পানি যুক্ত হয়। আনওয়েভের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ড্রোনের সিগন্যাল ব্লক ও কম্পিউটার সিস্টেম ব্যাহত করতে সক্ষম প্রযুক্তি তৈরি করছে।
সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনে ইউক্রেন এখন বিশ্বের দ্রুত বিকাশমান খাতগুলোর একটি। ইউক্রেন ও রাশিয়া মিলিয়ে এ বছর প্রায় ১৫ লাখ ড্রোন তৈরি করছে। এগুলোর বেশিরভাগ ছোট এবং লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়।
রোবটযুদ্ধের ধারণা নিয়েও এগোচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির ১৬০টির বেশি প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয় স্থলযান তৈরি করছে, যা রসদ সরবরাহ, আহতদের উদ্ধার এবং মেশিনগান বহনে ব্যবহৃত হয়। ইউক্রেনের মন্ত্রী হারম্যান স্মেতানিন বলেন, ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে রোবটযুদ্ধ।
তবে দক্ষ কর্মীর সংকট ইউক্রেনের এই শিল্পের বড় চ্যালেঞ্জ। অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম দেশের বাইরে সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
অগ্রসর প্রযুক্তির যুদ্ধে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে উভয় পক্ষের কৌশলগত প্রয়াস।